শুল্কযুদ্ধে চিনের কাছে নতি স্বীকার আমেরিকার! তিন মাস জন্য বর্ধিত শুল্ক স্থগিত
বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা করার পর শেষ পর্যন্ত আগামী তিন মাসের জন্য আমেরিকা ১১৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে নিতে চলেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।গত সপ্তাহে সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকে বসেছিলেন চিন এবং আমেরিকার প্রতিনিধিরা। জেনেভা বৈঠকের পরেই দু’দেশের শুল্কযুদ্ধে সাময়িক বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার মার্কিন রাজস্বসচিব স্কট বেসান্ত জানিয়েছেন, ৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দু’দেশই।
শুল্কে আমেরিকা এবং চিনের তিন মাসের ‘যুদ্ধবিরতি’র সিদ্ধান্তের ফলে এখন চিনা বাজারে মার্কিন পণ্যের উপর ১০ শতাংশ এবং আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর থাকবে। বস্তুত, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পরেই দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে শুরু করে। চিনের সঙ্গে সরাসরি শুল্কযুদ্ধে নেমে পড়েন ট্রাম্প।

শুরুটা হয়েছিল ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ ফেন্টানাইলকে কেন্দ্র করে। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, আমেরিকার বাজারে নিষিদ্ধ ওই ওষুধটি চিন থেকে তাঁদের দেশে প্রবেশ করছে। ওই সময়ে কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পরে ভারত-সহ আরও বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক চাপান ট্রাম্প। শুল্ক বৃদ্ধি হয় চিনা পণ্যের উপরেও। শুল্কযুদ্ধে প্রত্যাঘাত করে বেজিংও। তারাও মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই ভাবে দফায় দফায় একে অন্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করতে থাকে।